পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

<!-- Google Tag Manager -->
<noscript><iframe src="//www.googletagmanager.com/ns.html?id=GTM-WHRBMN"
height="0" width="0" style="display:none;visibility:hidden"></iframe></noscript>
<script>(function(w,d,s,l,i){w[l]=w[l]||[];w[l].push({'gtm.start':
new Date().getTime(),event:'gtm.js'});var f=d.getElementsByTagName(s)[0],
j=d.createElement(s),dl=l!='dataLayer'?'&l='+l:'';j.async=true;j.src=
'//www.googletagmanager.com/gtm.js?id='+i+dl;f.parentNode.insertBefore(j,f);
})(window,document,'script','dataLayer','GTM-WHRBMN');</script>
<!-- End Google Tag Manager -->

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

গর্ভাবস্থার লক্ষণ” এবার গুগল ২০১৩ স্বাস্থ্য বিষয়ক সার্চের শীর্ষে

“গর্ভাবস্থার লক্ষণ” এবার গুগল ২০১৩ স্বাস্থ্য বিষয়ক সার্চের শীর্ষে
http://futurenewsbd.blogspot.com/

বছরের শেষপ্রান্তে এসে ইন্টারনেট জায়ন্ট গুগল একে একে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সার্চ লিস্ট প্রকাশ করতে শুরু করেছে। আর এ বছরে গুগলের স্বাস্থ্যবিষয়ক সার্চে গুগলাররা সবচেয়ে বেশিবার খোঁজ করেছেন গর্ভবতী হওয়ার লক্ষণ। এই নিয়ে টানা দু বছর গুগলের ‘টপ সার্চড সিমটমস’ তালিকায় শীর্ষস্থান অর্জন করলো গর্ভাবস্থার লক্ষন শিরোনামটি। গুগলের এই তালিকায় মূলত উঠে এসেছে যেসব বিষয় লোকেরা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলার আগে গুগলে সার্চ দিয়ে লক্ষণ দেখে নিশ্চত হয়ে নেয় রোগ সম্পর্কে।
মানুষের রোগসম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার এই সহজ মাধ্যম গুগলের কাছে গর্ভাবস্থার লক্ষণের পরই সবচেয়ে বেশিবার জানতে চাওয়া হয়েছে ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পর্কে। নিউজিল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান স্টাফ ডট কম এর তথ্যানুযায়ী তালিকার এই দুটি রোগের পরই মানুষ সবচেয়ে বেশি জানতে চেয়েছে ডায়বেটিস সম্পর্কে। তালিকায় এইডস এর অবস্থান হচ্ছে ৬ নম্বরে। এই তালিকাই বলে দিচ্ছে সাধারন রোগ ও যৌন মিলনঘটিত অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন নিয়ে লোকেরা যতটা চিন্তিত তার চেয়ে অনেক কম চিন্তা করে মরনব্যাধী এইডসকে নিয়ে। গুগলের এই টপ সার্চড সিমটমস’ তালিকায় এর পরের কয়েকটি রোগের নাম যথাক্রমে; চার নম্বরে দুশ্চিন্তা, পাঁচে থাইরয়েডজনিত রোগ, ছয়ে এইডস, সাতে মনোনিউক্লিওসিস। এছাড়াও দশ নাম্বারে অবস্থান করছে নিউমোনিয়া রোগের লক্ষণসমূহ।
ওয়েবসাইট অবলম্বনে

ল্যাপটপের চার্জ দীর্ঘায়িত করার কৌশল!


ল্যাপটপের চার্জ দীর্ঘায়িত করার কৌশল!
http://futurenewsbd.blogspot.com
 ল্যাপটপ একটি প্রয়োজনীয় জিনিস। ল্যাপটপ দিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ন কাজ করা হয়। কারেন্ট সমস্যা আমাদের দেশে তো আর নতুন কোন সমস্যা না। প্রয়োজনীয় কাজের সময় বিদুৎ চলে গেল। তখন কাজের সময় হঠাৎ করে ল্যাপটপের ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে গেল। তখন তো মাথা নষ্ট হবারি কথা।   ল্যাপটপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এ ধরনের সমস্যায় হরহামেশাই পড়তে হয়।  ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত করার কিছু সহজ সমাধান রয়েছে। ল্যাপটপ ব্যবহারকারীদের উচিত এ বিষয়গুলোকে দৈনন্দিত অভ্যাসে পরিণত করে নেয়া। তা হলে আর অনাকাঙ্খিত বিড়ম্বনায় পড়তে হবে না।
এক্সটার্নাল ডিভাইস: আমার কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় কিছু এক্সটার্নাল ডিভাইস ব্যবহার করি। তাই   ল্যাপটপের ইউএসবি পোর্টে যে কোন ধরনের এক্সটার্নাল ডিভাইস চালু থাকলে, তা আপনার ল্যাপটপ থেকে অনবরত পাওয়ার টানতে থাকবে। এক্সটার্নাল ডিভাইসটির কাজ শেষ হয়ে গেলে, সেটি ইউএসবি পোর্ট থেকে খুলে ফেলার চেষ্টা করুন।
ডিসপ্লে: অবশ্যই ল্যাপটপের ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখুন। ব্রাইটনেস কমিয়ে রাখলে চার্জ থাকে অনেক সময় ধরে। মোবাইলের মতো ল্যাপটপ স্ক্রিনও বেশি পাওয়ার ব্যবহার করে। সে কারণে স্ক্রিনের ব্রাইটনেস বা উজ্জ্বলতা চোখের জন্য সহনীয় মাত্রায় যতোটা কমিয়ে ব্যবহার করা যায়, ততোটাই ভালো। যদি কিবোর্ডে ব্যাকলাইট থাকে, তবে সেটিও সেটিংস থেকে বন্ধ করে দিন। এতে ব্যাটারির আয়ু দীর্ঘায়িত হবে।
অতিরিক্ত গরম হওয়া: ল্যাপটপ দিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে থাকি। তার ফলে ল্যাপটপ অনেক সময় প্রচুর গরম হয়ে যায়। ল্যাপটপ বেশি গরম হলে, ভেতরের ফ্যানগুলো আরও দ্রুত ঘুরতে শুরু করে। আর তা স্বাভাবিকভাবেই বেশি ব্যাটারি খরচ করে। সে কারণে একটি ল্যাপটপ কুলার কিনে নিন। এতে আপনার ল্যাপটপটি অতিরিক্ত গরম হবে না।
হাইবারনেশনে রাখুন: কাজের সময় অনেক প্রয়োজনীয় কাজে বাহিরে যেতে হয়। তখন মোড অফ করে যেতে হয়। ল্যাপটপ স্ট্যান্ডবাই মোডে না রেখে হাইবারনেশনে রাখুন। এতে আপনার কম্পিউটারটি বন্ধ হয়ে যাবে ও ব্যাটারির চার্জ অনেক বেশি সময় থাকবে। হাইবারনেশনে ল্যাপটপ বন্ধ হলেও, আপনি শেষ যেভাবে কাজগুলো সংরক্ষণ করছিলেন বা যে উইন্ডোগুলো খুলেছিলেন, ল্যাপটপটি চালু করলে ঠিক সে অবস্থাতেই সেগুলো পাবেন।
উইন্ডোজের পাওয়ার প্ল্যান: ল্যাপটপে উইন্ডোজের সঙ্গে বিল্ট-ইন পাওয়ার প্ল্যান সেটিংসও পাচ্ছেন। তাই চিন্তার কিছু নেই। বিভিন্ন অপশন; যেমন- ডিসপ্লে ব্রাইটনেস বাড়ানো বা কমানো, কখন ডিসপ্লে ডিম বা অনুজ্জ্বল করতে এবং বন্ধ করতে চান, হার্ড-ড্রাইভসমূহ ও ইউএসবি পাওয়ার বন্ধ করতে চান, সেগুলো সংযোজিত রয়েছে।
ব্যাটারি কেস: এই অ্যাপ্লিকেশনটি  দিয়ে সম্পূর্ন ব্যাটারির  একটুকু ক্ষমতা বা চার্জ আছে তা দেখা যায়। শুধু তাই নয়। কতোটুকু ব্রাইটনেসে ব্যাটারি কতোক্ষণ চলবে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে সেখানে। ব্যাটারির বর্তমান কন্ডিশন কেমন, তাও জানতে পারবেন। সিপিইউ ও হার্ড-ড্রাইভ অতিরিক্ত গরম হয়ে গেলেও, সেটা প্রদর্শন করেব্যাটারি কেস অ্যাপ্লিকেশন।

Comments...............

এবার মানুষের নজরদারি করবে রোবট!

এবার মানুষের নজরদারি করবে রোবট!
http://futurenewsbd.blogspot.com


মানুষকে বেচেঁ থাকতে হলে অবশ্যই কাজ করতে হবে। পরিশ্রম না করলে মানুষের জীবন পরির্পূন হয় না। বর্তমান সময়ে মানুষের কাজকে হালকা করে দিচ্ছে রোবাট। কিন্ত বর্তমান সময়ে নাকি রোবাট কাজের পাশাপাশি মানুষেরও নজরদারি করবে। ওষুধ খাওয়া থেকে শুরু করে দরকারি কাজ কষ্ট করে মনে রাখার প্রয়োজন নেই আপনার। একটা ছোট্ট কুকিজের সাহায্যে ছোট্ট রোবটটিই সারাদিন নজরদারি চালাবে আপনার উপর। মনে করিয়ে দেবে, খুঁটিনাটি সব কিছুই। রোবটটি দেখতে ছোট্ট পুতুলের মতো, কিন্তু কাজে কম্পিউটারকেও হার মানায়।
এটি তৈরি করেছে রোবট নির্মাতা রফি হালাদিজান। ফরাসি সংস্থার তৈরি রোবটটি লাস ভেগাসের অনুষ্ঠানে নিয়ে এসেছিলেন তিনি। তাঁর কথায়, এটা খুব সহজে আপনার নিত্যব্যবহার্য বস্তুকে ইলেকট্রনিক যন্ত্রে পরিণত করতে পারে। এটা কোনও অলৌকিক সৃষ্টি নয়, বিজ্ঞানের এক অসাধারণ আবিষ্কার।
বিশেষ প্রযুক্তিতে তৈরি ‘মোশন কুকিজ’-এর উপরই নির্ভর করে রোবটটির কার্যকারিতা। এই কুকিজের মধ্যে রয়েছে বিশেষ সেন্সর, যার মাধ্যমে খুব সহজে কোনও বস্ত্তর নড়াচড়া, তাপমাত্রা, গঠন ও অন্য জিনিস নির্ধারণ করতে পারে রোবট। যে বস্তুর উপর নজরদারি চালানো প্রয়োজন, শুধু তার সঙ্গে একটা কুকিজ লাগিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে।
জানা গেছে, একসঙ্গে ২৪টি বস্তুর উপর নজরদারি চালাতে  পারে রোবটটি। আর এটি চালাতে যেহেতু কোনও বৈদ্যুতিন সংযোগের প্রয়োজন নেই, তাই রোবোটটিকে যেখানে খুশি রাখতে পারেন৷ তাকে নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন অ্যাপ্লিকেশন বা প্রশিক্ষণেরও প্রয়োজন নেই

ড্রপবক্স হ্যাক হওয়ার ঘটনা ছিলো ধোঁকাবাজি!

ড্রপবক্স হ্যাক হওয়ার ঘটনা ছিলো ধোঁকাবাজি!
http://futurenewsbd.blogspot.com


হ্যাকাররা ড্রপবক্স হ্যাক করতে পারেনি। এর আগে তাদের ওয়েবসাইট হ্যাকড হওয়ার যে খবর প্রকাশিত হয়েছে ,তা একপ্রকার ধোঁকাবাজি বলে জানিয়েছে ড্রপবক্স কর্তৃপক্ষ। ‘অ্যানোনিমাস’ নামে যে হ্যাকার দল ড্রপবক্স ওয়েবসাইট হ্যাক করে বলে দাবি করেছিল, তারা অফিশিয়ালি বিষয়টা অস্বীকার করেছে বলে নিশ্চিত করে ড্রপবক্স কর্তৃপক্ষ।
ব্যবস্থাপনাগত জটিলতার কারণেই সাময়িকভাবে ওয়েবসাইটটি বিকল হয়ে পড়ে বলে জানায় ড্রপবক্স কর্তৃপক্ষ। আর এর এ সুযোগ নিয়েই অজ্ঞাতনামা (অ্যানোনিমাস) একটি হ্যাকার দল ওয়েবসাইটটি হ্যাক করছে বলে সামাজিক যোগাযোগ সাইট টুইটারে ঘোষণা দেয়। তবে তা সম্পূর্ণভাবে ধোঁকাবাজি ছিল ড্রপবক্স কর্তৃপক্ষ এক ব্লগ পোস্টে নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে তাদের ওয়েবসাইট সম্পূর্ণরুপে ঠিক-ঠাক রয়েছে বলেও জানায় তারা।
উল্লেখ্য, ড্রপবক্স একটি বিনামূল্যের ব্যাক-আপ সার্ভিস ওয়েবসাইট। এ ওয়েবসাইটের উপযোগিতার কারণে বর্তমানে ওয়েবসাইটটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর মাধ্যমে ছবি,নথিপত্র এবং ভিডিও শেয়ার করা যায়।
তথ্যসূত্র: টেক ক্রান্স

মাইক্রোসফটের ‘নিউজ টুইটার অ্যাকাউন্ট’ হ্যাকড!

মাইক্রোসফটের ‘নিউজ টুইটার অ্যাকাউন্ট’ হ্যাকড!
http://futurenewsbd.blogspot.com



এবার হ্যাকারদের কবলে মাইক্রোসফট। সম্প্রতি মাইক্রোসফটের নিউজ টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করেছে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ সমর্থিত হ্যাকার দল সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি (এসইএ), মাইক্রোসফটের টুইটার আকাউন্ট হ্যাক করে তারা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে বেশ কয়টি টুইটও পোস্ট করে।
মাইক্রোসফট হ্যাক করার আগে তাদের নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল ওই হ্যাকার দল। তাদের অভিযোগ, মাইক্রোসফট এবং স্কাইপ আমেরিকা সরকারের কাছে তথ্য বিক্রি করে। আর এ অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা মাইক্রোসফটের নিউজ টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে। হ্যাক করার পরই তারা মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে কয়েকটি টুইট পোস্ট করে। টুইটগুলো ছিল এরকম- ‘আপনারা কেউ মাইক্রোসফটের ইমেইল ব্যবহার করবেননা। কোম্পানিটি ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে গোয়েন্দাগিরী করে এবং আমেরিকা সরকারের কাছে তথ্য বিক্রি করে।’ এরপর সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি নামের এই হ্যাকার দলের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকেও এরকম টুইট পোস্ট করা হয়।
তবে হ্যাকার দল মাাইক্রোসফটের টুইটার অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে বেশিক্ষণ তা তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেনি। এর মধ্যেই মাইক্রোসফট তা পুনরুদ্ধার করে। এছাড়া এসইএ’র পক্ষ থেকে যে আক্রমণাত্মক টুইট পোস্ট করা হয়, তা ডিলিট করে দেয়। প্রসঙ্গত হ্যাকারদল কোন ব্যবহারকারীর বিশেষ ক্ষতি করতে পারেনি বলেও মাইক্রোসফট কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে।
তথ্যসূত্র: টেক জার্নাল

ম্যালওয়ারের থাবায় বিপর্যস্ত ইয়াহু

ম্যালওয়ারের থাবায় বিপর্যস্ত ইয়াহু
http://futurenewsbd.blogspot.com



 ম্যালওয়ারের থাবায় বিপর্যস্ত ইয়াহু। এই ভাইরাস সফটওয়্যারের আক্রমণে গত ২৭ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে ইউরোপের বাইরে ইয়াহুর পরিষেবা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংস্থার তরফে এক বিবৃতিতে একথা স্বীকার করে নেয়া হয়েছে।
ইয়াহু হেল্পলাইনে অনুসারে, ২৭ ডিসেম্বরের পরবর্তী সাত দিন ২০ লক্ষের বেশি পার্সোনাল কম্পিউটার ম্যালওয়ারের থাবায় পড়েছিল। যার ফলে ওই সময় ইয়াহু ব্যবহারকারীদের কম্পিউটারের ব্যক্তিগত তথ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। – সংবাদ সংস্থা

ফেসবুক-টুইটারে নিরাপত্তাহীনতা ও নার্সিসাস

ফেসবুক-টুইটারে নিরাপত্তাহীনতা ও নার্সিসাস
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক হয়ে ওঠার খোরাক জোগাচ্ছে কি না, তা নিয়ে একটা সন্দেহ-সংশয় বিশেষজ্ঞদের মাঝে বেশ কিছুদিন ধরেই ছিল। আর এ সন্দেহের যথেষ্ট ভিত্তি আছে বলেও বেশ কয়েকটি গবেষণায় উঠে এসেছে।
সাম্প্রতিক এই গবেষণার আগে কানাডার গবেষকেদের দাবি করেছিলেন, একটা মানুষ কতখানি আত্মকেন্দ্রিক, সেটা তার ফেসবুকের বন্ধুসংখ্যা এবং এর অন্যান্য ব্যবহার দেখে অনুমান করা সম্ভব। তাঁরা দাবি করেছিলেন যে, অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারকারীরা নিজেদের নিরাপত্তাহীন ভাবেন, তাঁদের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা জন্ম নেয় ও মনের জোর কমে যায়। তাই ফেসবুক ব্যবহারকে আয়নায় নিজের মুখচ্ছবি দেখার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন তাঁরা।
নার্সিসাসএর আগে ২০১২ সালে ওয়েস্টার্ন ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মাধ্যমে গ্রিক দেবতা নার্সিসাস আবার নতুনভাবে ফিরে আসছেন। গ্রিক পুরাণের বহুল আলোচিত অনেক চরিত্রের মধ্যে অন্যতম নাম নার্সিসাস। তিনি বিখ্যাত ছিলেন তাঁর সৌন্দর্যের জন্য। কিন্তু ওই সৌন্দর্য তাঁর জীবনহানিরও কারণ হয়েছিল। পানিতে নিজের প্রতিচ্ছবি দেখে তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে নিজের চোখ অন্যদিকে ফেরানোর সামর্থ্যও হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং এই অবস্থাতেই মারা যান তিনি। আর তার থেকে নার্সিসাস ফুলের জন্ম। এই নার্সিসাস থেকেই নার্সিসিজমের ধারণা এসেছে, যা মানুষের মধ্যে এক ধরনের আত্মবাদ, আত্মগর্ব, আত্মশ্লাঘার বৈশিষ্ট্যের দিকে ইঙ্গিত করে।
নার্সিসিজম বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সামাজিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপিত হয়েছে। কখনো সামাজিক বা সাংস্কৃতিক সমস্যা হিসেবে, কখনো বা মানসিক অসুস্থতা হিসেবে একে বর্ণনা করেছেন গবেষকেরা। সে সময় ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা জানিয়েছিলেন যে, ফেসবুকে ব্যাপকভাবে বাড়ছে নার্সিসিস্ট লক্ষণাক্রান্ত মানুষের সংখ্যা। বিশেষত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এ সমস্যা প্রকটতর হচ্ছে।
যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান-এর এক প্রতিবেদনে এ গবেষণা বিষয়ে বলা হয়েছিল, নার্সিসাস-প্রভাবযুক্ত মানুষ বলে যাঁদের বিবেচনা করা হয়, ফেসবুকে তাঁদের বন্ধুসংখ্যা বেশি। তাঁরা প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে বন্ধুদের ট্যাগ করেন এবং তাঁরা ঘন ঘন তাঁদের স্ট্যাটাস পরিবর্তন করেন। এ গবেষণায় আরও দেখা গেছে, এ ধরনের মানুষ তাঁদের সম্পর্কে কোনো সমালোচনামূলক মন্তব্যের জবাব দেন খুবই আক্রমণাত্মকভাবে। তাঁরা ঘন ঘন নিজেদের প্রোফাইলের ছবিটি পরিবর্তন করেন আর গবেষকদের ধারণা, এসব আচরণগত বিষয়ের মধ্যে এমন কিছু  দিক আছে, যার ফলে এরা নিজেদের নিয়েই সর্বদা ব্যস্ত থাকেন এবং আত্মতৃপ্তি লাভ করেন। নিজের ভুবন-কেন্দ্রিক এসব কর্মকাণ্ড ক্রমেই তাঁদেরকে নার্সিসিস্ট ব্যক্তিত্বের দিকে নিয়ে যায়।
মার্কিন গবেষকেরা জানিয়েছেন, সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে যাঁরা অতিরিক্ত সময় কাটান তাঁরা বাস্তবের বন্ধুদের সহমর্মিতার ও সাহচর্য থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। টুইটার ও  ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলো মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলার প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠছে। এতে অতিরিক্ত সময় কাটানোর ফলে বাস্তবের বন্ধুত্বের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা কমে যায়। সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে অনুসারীদের কাছে ঘন ঘন পোস্ট দিয়ে নিজেকে শুধু জাহির করার প্রবণতা দেখা যায়।

কী করবেন
গবেষকেদের পরামর্শ হচ্ছে, বর্তমানের এই তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহারের সুযোগে ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো মানুষকে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগের অপার সুযোগ করে দিয়েছে। বিভিন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক তত্পরতার ক্ষেত্রেও বিশাল ভূমিকা রাখছে এই সাইটগুলো। তবে এগুলোর সার্থক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য মনের ওপর এর প্রভাবের মতো অন্ধকার দিকগুলো নিয়েও আরও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ছে।  তাঁদের দাবি, আদর্শিক জায়গা থেকে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ব্যবহার করা উচিত, এ সাইটগুলো কখনও আত্মতৃপ্তির জায়গা হিসেবে গড়ে উঠতে দেওয়া উচিত নয়।

হারানো জিনিস-পত্রের সন্ধান দেবে ওয়েবসাইট !

হারানো জিনিস-পত্রের সন্ধান দেবে ওয়েবসাইট !
http://futurenewsbd.blogspot.com/

আজকের টেক ডেস্ক চলার পথেই মানুষ অনেক কিছু হারায়। এই যেমন- চাবি, মানি ব্যাগ, মোবাইল ফোন এবং এমন কী ল্যাপটপ পর্যন্ত। কিন্তু বেশির-ভাগ সময়েই তারা তাদের অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটি ফিরে পেতে ব্যর্থ হয়। কারণ কোন স্থানে এবং কীভাবে তার জিনিসটি হারিয়েছে সে সম্পর্কে প্রায় সময়ই অজ্ঞ থাকে। কিন্তু কোন সহৃদয়বান ব্যক্তির হাতে পড়লে জিনিসটি নিশ্চিত ফেরত দেবে। কিন্তু ফেরত দেয়ার কোন উপায় এতদিন পর্যন্ত ছিলনা।
বিষয়টি বিবেচনা করেই সম্প্রতি ভারতের একটি উদ্যোক্তা দল এমনই একটি ওয়েবসাইট নির্মাণ করেছে যার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী হারানো জিনিস-পত্র ফিরিয়ে দিতে পারবে বলে জানিয়েছেন ওয়েবসাইটটির প্রধান পারাম রাম। প্রযুক্তির চরম উৎকর্ষের এই যুগে কোন জিনিস হারানোর ফিরে না পাওয়াটা বেশ কষ্টকর বলে মন্তব্য করেন পারাম। এজন্যই লস্টক্লিকফাউন্ড.কম নামে এই ওয়েবসাইট তৈরির সিদ্ধান্ত নেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশেষ এক পদ্ধতি ব্যবহার করে বড় ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই হারানো জিনিস-পত্রের সন্ধান পাওয়া যাবে বলে উল্লেখ করেন পারাম। প্রাথমিক পর্যায়ে বিষয়টি জনপ্রিয় করতে তারা বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষার্থীদের এই ওয়েবসাইট এবং ওয়েবসাইটের কর্মকান্ড সম্পর্কে ধারণা প্রদান করবে বলেও জানান পারাম।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া.

আইনি বাধার মুখে বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিচ্ছে ফেসবুক


অবশেষে আইনি জটিলতা এবং জনরোষের মুখে নিজেদের বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিচ্ছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ বিজ্ঞাপন সরিয়ে নেয়া হলে ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ব্যবহার করে সবধরনের বিজ্ঞাপন করা বন্ধ হয়ে যাবে। আইনি জটিলতা এবং ব্যবহারকারীদের অব্যাহত অভিযোগের ভিত্তিতেই ফেসবুক তাদের স্পন্সর করা সব অ্যাড বন্ধ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়।
এর মধ্যে গেল বছরের আগষ্টে এ ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহারের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে করা মামলায় কয়েক মিলিয়ন ডলার জরিমানাও গুণে ফেসবুক। এরপর থেকেই মূলত ফেসবুক তাদের স্পন্সরে থাকা সবধরনের অ্যাড বন্ধ করে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্তে আসে। উল্লেখ্য, ২০১১ সাল থেকেই এ ধরনের নিজেদের অ্যাড দেয়া শুরু করে ফেসবুক। অবশেষে আইনি বাধার মুখে ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে চূড়ান্তভাবে এই বিজ্ঞাপন বন্ধ করে দেবে বলে ঘোষণা দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ।
তথ্যসূত্র: সান ফ্যান্সিসকো বিজনেস টাইমস

এবার যে কেউ মেইল পাঠাবে আপনার জি-মেইলে

এবার যে কেউ মেইল পাঠাবে আপনার জি-মেইলে

গুগল দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট গুগল প্লাসকে জনপ্রিয় করার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে এই সাইটটিতে ৫০ কোটির বেশি সক্রিয় ব্যবহারকারী রয়েছেন। এখন যাঁরা গুগলের জি-মেইলের জন্য অ্যাকাউন্ট তৈরি করেন, তাঁরা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুগল প্লাসের একটি অ্যাকাউন্টের মালিক হন। গুগলের দাবি, তাদের নতুন ফিচারটি জি-মেইল ও গুগল প্লাস উভয় সেবা ব্যবহারকারীদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে সুবিধা দিতে সক্ষম হবে।
আপনার জি-মেইল অ্যাকাউন্টে এখন অজানা-অচেনা কারও কাছ থেকে মেইল পেলে চমকে উঠবেন না। গুগল কর্তৃপক্ষ তাদের মেইল-সেবা জি-মেইলে খোলা আইডি এখন গুগল প্লাস নেটওয়ার্কে থাকা অচেনা ব্যক্তিদেরও জানার সুযোগ করে দিতে একটি ফিচার আনছে। অনেকেই আশঙ্কা করছেন, গুগলের সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক গুগল প্লাসের নেটওয়ার্কে থাকা পরিচিত-অপরিচিত সবার কাছেই জি-মেইল আইডি শেয়ার হয়ে যেতে পারে। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এদিকে, গুগলের এই ফিচারটি ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে সমালোচনা করছেন অনেকেই। তাঁদের দাবি, এ ধরনের ফিচার চালু করার আগে ব্যবহারকারীরা অপরিচিত কারও বার্তা চান কি না, সেজন্য তাঁদের বিবেচনার সুযোগ রাখা উচিত। ফিচারটি ব্যবহারকারীদের সমস্যায় ফেলতে পারে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
গুগল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন ফিচার যুক্ত হওয়ার ফলে জি-মেইল ব্যবহারকারীদের কন্টাক্ট বা যোগাযোগের তালিকায় আরও অনেকেই বাড়তি যুক্ত হবেন। এর ফলে গুগল প্লাস ব্যবহারকারী চাইলে অপরিচিত বা পরিচিত সবার কাছেই মেইল পাঠানোর সুযোগ থাকবে।
গুগল কর্তৃপক্ষ এক ব্লগ পোস্টে এই ফিচারটি সম্পর্কে এক ব্যাখায় জানিয়েছে, কখনো মেইল লিখতে শুরু করার পর যদি মনে হয় কারও ই-মেইল আইডি এখনো নেওয়া হয়নি, তখন এ ধরনের ফিচারটি তাকে সাহায্য করতে পারবে।
যাঁরা অবশ্য গুগল প্লাসে অপরিচিত কারও কাছ থেকে মেইল গ্রহণ করতে চান না, তাঁরা সেটিংস থেকে তা বন্ধ করে দিতে পারবেন।
গুগল অবশ্য আরও দাবি করেছে, অপরিচিত কারও কাছে গুগল প্লাস আইডি শেয়ার করবে না তারা। অপরিচিত কেউ গুগল প্লাস ব্যবহার করে বার্তা পাঠালে তা মেইলের ইনবক্সের বিশেষ একটি অংশে জমা হবে। এই মেইলের সঙ্গে বন্ধু বা পরিচিত যোগাযোগের মেইলগুলো সম্পূর্ণ আলাদা হবে। অপরিচিত কারও কাছ থেকে পাওয়া মেইলের যদি ব্যবহারকারী উত্তর না পাঠায়, তবে গুগল অপরিচিত উত্স থেকে মেইল পাঠানোর সুযোগ বন্ধ করে দেবে।
অবশ্য গুগল প্লাসে যাঁদের অনেক ফ্যান বা ভক্ত রয়েছে, সে সেলিব্রেটির অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয় বার্তা পাঠানোর কোনো সুযোগ থাকবে না।

২০১৩ সালের প্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দসমূহ

২০১৩ সালের প্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে বিরক্তিকর শব্দসমূহ

স্মরণীয় কিছু মুহূর্তের পাশাপাশি অস্বাভাবিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেও অনেকে ২০১৩ সালকে মনে রাখবেন। এই যেমন- দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণসভায় গিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এবং ডেনমার্কের মহিলা প্রধানমন্ত্রী হেলে থর্নিং’র সঙ্গে ওবামার হাস্যোজ্জ্বল ছবি তোলা, এমটিভি ভিমএ পারফরমেন্সে মাইলি সাইরাসের অদ্ভুত নাচ।
মজার ব্যাপার হলো, এসব অস্বাভাবিক ঘটনাকে এক শব্দে প্রকাশ করতে সংবাদ মাধ্যমগুলো কিছু শব্দও তৈরি করে। এই যেমন ওবামার হাস্যোজ্জ্বল ছবি তোলাকে তারা নাম দেন ‘সেলফি‘ এবং মাইলির অদ্ভুত নাচকে এক শব্দে নাম দেন ‘টোয়ের্কিং‘, কিন্তু ২০১৩ সালে মানুষ এ শব্দগুলো শুনলেই তাদের সর্বোচ্চ প্রকাশ করতো। কারণ এসব শব্দের পেছনের গল্প তাদের বিরক্তি প্রকাশে বাধ্য করতো। এজন্যই ২০১৩ সালের শীর্ষ বিরক্তিকর শব্দের মধ্যেই এ শব্দদ্বয়ের স্থান হয়। সেলফি, টোয়ের্কিং ছাড়াও ওবামাকেয়ার এবং হ্যাশট্যাগের মতো শব্দগুলোও বেশ বিরক্তির ছিল এক জরিপে প্রকাশ করা হয়।
উল্লেখ্য, সেলফি এবং টোয়ের্কিং’র মতো শব্দগুলোতে মানুষ বেশ বিরক্ত হলেও এতে খুব বেশি বিরক্ত ছিল অক্সফোর্ড ডিকশনারি কর্তৃপক্ষ।এজন্যই এ দুটি শব্দ তারা তাদের ডিকশনারির জন্য বেছে নিয়েছে।
তথ্যসূত্র: সিনেট

নারীদের নিরাপত্তায় অ্যাপস আনল মাইক্রোসফট

Guardian-Safety-App_

গার্ডিয়ান অ্যাপসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বৃহস্পতিবার মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার পরিচালক রাজ বিজানি বলেন, দিল্লির সেই মেডিকেল ছাত্রী ধর্ষনের ঘটনায় এই অ্যাপসটি চালু করতে মাইক্রোসফটকে তাগিদ দিয়েছে। এই অ্যাপসের সাহায্যে ভারতের বিভিন্ন শহরে নারীরা আরো বেশি নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবেন। রাজ জানান, এই অ্যাপসটি ব্যাবহার করতে পারবেন উইন্ডোজ ফোনের সব ব্যবহারকারী। এর সাহায্যে নারীরা বাইরে থাকার সময়টায় ট্র্যাক মি সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের প্রিয়জনের কাছে নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হলে বার্তা পাঠাতে পারবেন। তবে এ জন্য ব্যবহারকারীকে উইন্ডোজের অ্যাজুর ক্লাউড সার্ভিস ও বিং ম্যাপ এপিআইএস সেবা চালু রাখতে হবে।
নারীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই অ্যাপসটি উইন্ডোজ ফোনে চালু রাখলে ব্যবহারকারী বিপদে পড়লে শুধুমাত্র একটি এসওএস বাটনে চাপ দিয়েই পরিবার, নিরাপত্তা সংস্থা, হাসপাতাল এমনকি ফেসবুক চালু থাকলে বন্ধুদের নির্দিষ্ট গ্রুপে সাহায্য চেয়ে পাঠাতে পারবেন নিজের সঠিক অবস্থানসহ। তবে এ জন্য ফোন ব্যবহারের শুরুতেই অ্যাপসটি ইন্সটল করে নির্দিষ্ট এলাকার প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত কন্টাক্টগুলো অ্যাপসকে দিতে হবে। আর অবশ্যই মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অ্যাজুর ক্লাউড সার্ভিস ও বিংম্যাপ এপিআইস চালু রাখতে হবে।
অ্যাপসটির উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে মাইক্রোসফট ইন্ডিয়ার ব্যাবস্থাপনা পরিচালক আরো জানান, তাদের কর্মীরা কাজের অবসরে এই অ্যাপসটি ডেভলপমেন্টের কাজ করে গেছে। গত ছয় মাসে তাদের কাজের ফলে এই অ্যাপসটি মাইক্রোসফট আইটি ইন্ডিয়া দেশটির উইন্ডোজ ফোনের ব্যবহারকারীদের হাতে এই অ্যাপসটি তুলে দিতে পেরেছে। ব্যবহারকারীদের আশা এবার অন্তত ধর্ষনের ভয়মুক্ত হয়ে রাস্তাঘাটে নির্ভয়ে চলাচল করতে পারবে ভারতের নারীরা।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে 

২০১৫ তে আসছে উইন্ডোজ ৯

২০১৫ তে আসছে   উইন্ডোজ ৯

আগামী বছর মাইক্রোসফট করপোরেশন বাজারে নিয়ে আসছে পরবর্তী কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৯।২০১৪ সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ৮.১ সংস্করণের জন্য হালনাগাদ ওয়ান বা জিডিআর-ওয়ান নামে সার্ভিস প্যাক-জাতীয় হালনাগাদ বাজারে আনবে। ধারণা করা হচ্ছে, উইন্ডোজ ফোন ৮.১-এর পাশাপাশি উইন্ডোজ ৮.১ আপডেট ওয়ান এপ্রিলেই বাজারে ছাড়া হবে। কিন্তু বিল্ড ডেভেলপার সম্মেলনের সবচেয়ে বড় খবর হবে ‘থ্রেসহোল্ড’ নিয়ে মাইক্রোসফটের পরিকল্পনা। উইন্ডোজে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে এই থ্রেসহোল্ড বা উইন্ডোজ ৯-এ, যাতে ফিরে আসবে স্টার্ট মেনু। এর ডেস্কটপেই চলবে মেট্রোজাতীয় অ্যাপস।

এপ্রিলে অনুষ্ঠেয় বিল্ড ডেভেলপার সম্মেলনে মাইক্রোসফট উইন্ডোজের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে করণীয়, সেই সঙ্গে বার্ষিক অবমুক্তি হিসেবে ‘থ্রেসহোল্ড’ সাংকেতিক নামের নতুন অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ ৯ সম্পর্কে আলোচনা করবে বলে জানা গেছে। উইনসুপারসাইটের স্বত্বাধিকারী ও প্রযুক্তি ব্লগার পল থরট নিজস্ব সূত্র থেকে এমনটাই জানতে পেরেছেন বলে এক ব্লগে জানিয়েছেন।
মজার বিষয় হলো, উইন্ডোজ ৮-কে ধরা হচ্ছে পরবর্তী ভিসতা হিসেবে। মাইক্রোসফট বলতে পারবে, গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক কাজগুলো উইন্ডোজ ৮-এ সম্পূর্ণ না করলে উইন্ডোজ ৯ বানানো সম্ভবপর হতো না। বিষয়টা ঠিক উইন্ডোজ ৭ এবং উইন্ডোজ ভিসতার মতোই। যখন নেটবুকের প্রচলন শুরু হয়েছিল, তখনই ভিসতা আসে। আর এখন যখন ট্যাবলেটের যুগ চলছে, তখন এল উইন্ডোজ ৮। সন্দেহ নেই, বর্তমান প্রযুক্তি উইন্ডোজকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এখন মাইক্রোসফট চাইবে উইন্ডোজ ৮-এ যা নেই, তার সব থাকবে ৯ সংস্করণে।

 তথ্যসুত্রঃ  দি ভার্জ  

মহাকাশ থেকে এবার সরাসরি সম্প্রচার!

মহাকাশ থেকে এবার সরাসরি সম্প্রচার!

লাইভ ফ্রম স্পেস’ শিরোনামের অনুষ্ঠানটি আরও ১৭০টি দেশে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে সম্প্রচার করা হবে। অনুষ্ঠানে আইএসএসের অভ্যন্তরের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড ছাড়াও কক্ষপথ থেকে দৃশ্যমান পৃথিবীর অতি ঝকঝকে ছবিও দেখানো হবে। অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের ভূমিকায় থাকবেন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক ও ব্রিটেনের জনপ্রিয় প্রোগ্রাম ‘দ্য এক্স ফ্যাক্টর’-এর বহুদিনের পরিচিত মুখ ডারমট ও’লারি। যুক্তরাষ্ট্রের হিউস্টনে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মিশন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের মাধ্যমে আইএসএসের নভোচারীদের সঙ্গে থেকে ডারমট অনুষ্ঠানটির সরাসরি ধারাভাষ্য দেবেন।
আর এ কাজটিই করতে চলেছে ব্রিটেনের একটি টেলিভিশন চ্যানেল। এটি হবে এমন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের প্রথম কোনো ঘটনা। যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ফোর টেলিভিশন জানিয়েছে, পৃথিবীর চারপাশের কক্ষপথ সম্পূর্ণ প্রদক্ষিণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কর্মকাণ্ড নিয়ে এ অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হবে। ‘বিশিষ্ট পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং ও ব্রিটিশ নভোচারী টিম পিকেরও অংশগ্রহণ থাকবে এ অনুষ্ঠানে।
তথ্যসূত্রঃ ফক্স নিউজ

গুগলের মালিকানায় নতুন সংযুক্তি নেস্ট ল্যাবস !

গুগলের মালিকানায় নতুন সংযুক্তি নেস্ট ল্যাবস !



গুগলের মালিকানায় নতুন সংযুক্তি নেস্ট ল্যাবস !

সার্চ জায়ান্ট গুগলের মালিকানায় সম্প্রতি যুক্ত হলো প্রযুক্তি কোম্পানি নেস্ট ল্যাবস। নিজেদের কর্মপরিধি সম্প্রসারিত করার অংশ হিসেবেই স্মার্ট হিমায়নযন্ত্র ( থার্মোস্ট্যাট) এবং আগুনের পূর্বাভাস প্রদানকারী যন্ত্র প্রস্তুতকারী কোম্পানি নেস্ট ল্যাবস কিনে নেয় গুগল।
সম্প্রতি গুগলের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। মানুষের বাসা-বাড়িতে স্মার্ট হিমায়ন যন্ত্র এবং আগুনের পূর্বাভাস প্রদানকারী যন্ত্রের ব্যবহার সহজলভ্য এবং বহুল প্রচলিত করার অংশ হিসেবেই গুগল এ কোম্পানিটি কিনে নেয় বলে নিশ্চিত করেছেন সার্চ ইঞ্জিনটির সিইও ল্যারি পেজ। ৩.২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে তারা তিনবছর বয়সী এ কোম্পানির মালিকানা পায় বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। এর আগে এর চেয়ে বেশি দামে গুগল শুধু মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী কোম্পানি মটরোলা কিনেছিল।
বাসা-বাড়ি ব্যবস্থাপনা নিয়ে নিজেদের ব্যবসায় পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা এ কোম্পানি কিনে নেয় বলেও উল্লেখ করেন ল্যারি পেজ। তবে কিনে নেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কাজ শুরু করছেনা গুগল। রেগুলেটরি অ্যাপ্রোভাল পেয়ে গেলে আগামী কয়েকমাসের মধ্যেই গুগলের তত্বাবধানে নেস্ট ল্যাবের কাজ শুরু হবে বলেও নিশ্চিত করেন পেজ।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

২০১৩ সালের ইন্টারনেট সেলিব্রেটি যারা


২০১৩ সাল বিদায়ের পথে। এর মাধ্যমে মহাকাল থেকে হারিয়ে যাবে আরো একটি বছর। কিন্তু মহাকালের অতল গহ্ববরে বিলীন হওযার আগেই এ বছরটিকে ঘিরে এরই মধ্যে পাওয়া না পাওয়ার হিসাব কষা শুরু হয়ে গেছে। তারই অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে ইন্টারনেটে কোন সেলিব্রেটিকে বেশি সার্চ করা হয় বা খোঁজা হয়, তা নিয়েও মাতামাতি শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে।
২০১৩ সালে ইন্টারনেটে কাকে বেশি খোঁজা হয়? এর উত্তরে অনেকেই নির্দ্বিধায় মাইলি সাইরাসের নামই উচ্চারণ করবে। তবে এই উত্তর আংশিক সত্য। কেননা পুরো পৃথিবী জুড়েই মাইলি সাইরাসকে বেশিবার সার্চ করা হয়নি। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডাতেই মাইলি সাইরাসকে সবচেয়ে বেশিবার সার্চ করা হয়। মাইলি সাইরাসের পরেই কিম কার্দাশিয়ানের অবস্থান। আমেরিকা ছাড়া ফ্রান্সেও কিমকে সার্চ দেয়া হয় তুলনামুলকভাবে বেশি। ব্রিটেনেও ইন্টারনেট সার্চিংয়ে কিম মোটামুটি এগিয়েই ছিলেন।
এদিকে কিমের পাশাপাশি রিয়ান্নকেও ইন্টারনেটে সার্চ করেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। ফ্রান্সেই তাকে বেশিবার সার্চ দেয়া হয় ইন্টারনেটে। ফ্রান্স ছাড়াও আমেরিকা এবং ব্রিটেনের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পছন্দেও এগিয়ে ছিলেন রিযান্না। অন্যদিকে বিয়ন্সি নোয়েলসও কম যান না। আমেরিকাতে ইন্টারনেট সেলিব্রিটির তালিকায় শীর্ষে ছিলেন এই নোয়েলসই। টিএনএজ পপ গায়ক জাস্টিন বিবারকেও ইন্টরনেটে সার্চ করেন অনেকেই। তবে এবার আশ্চর্যজনকভাবে বেশি খোঁজ করাদের তালিকায় ছিলেন ব্রিটিশ রাজবধু কেট মিডলটনও। বহুল আলোচিত সন্তান জন্মদানের কারণেই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের খোঁজের তালিকায় তিনিও উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করেন।
এছাড়া নিকি মিনাজ, অ্যাঞ্জোলিনা জোলি, সেলেনা গোমেজ,শাকিরা জেনিফার লরেন্স,ম্যাডোনা, এমা ওয়াটসন এবং মেগান ফক্সকেও ইন্টারনেটে অন্যদের তুলনায় ২০১৩ সালে বেশি সার্চ করা হয়।
তথ্যসূত্র:ম্যাশেবল.

ফেসবুকও প্রাণহন্তারক!


 বর্তমান সময়ের সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর মধ্যে বলতে গেলে সবার উপরেই ফেসবুকের অবস্থান। আর এ ধরনের গগণচুম্বী জনপ্রিয়তার পেছনে বেশ কিছু কারণও রয়েছে। এই যেমন- অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর চেয়ে ফেসবুকে যোগাযোগ রক্ষা করা এবং সম্পর্ক বজায় রাখার কাজটি বেশ কার্যকরী। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আবালবৃদ্ধবণিতা সবার কাছেই প্রিয় ফেসবুক। আর এ কারণে সৃষ্টি হয়েছে অতিমাত্রায় ফেসবুকপ্রীতি। অতিমাত্রার ফেসবুকপ্রীতি বা আসক্তির কারণেই প্রাণ হারাতে বসেছিলেন তাইওয়ানের এক মহিলা পর্যটক।
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে সমুদ্রে সৈকতে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ওই মহিলা পর্যটক। এর মধ্যে হঠাৎ মনে হলো একটু ফেসবুক চেক করবেন। তাই ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে স্মার্টফোনটি বের করেই ফেসবুক পেজ ওপেন করলেন। এরই মধ্যে একটি জাহাজর সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন তিনি। কিন্তু ফেসবুকে তিনি এতই বুঁদ ছিলেন যে তিনি সিঁড়ি দিয়ে নামছিলেন নাকি সমান্তরল মাঠে বিচরণ করছিলেন তা কিছুই বুঝতে পারেননি। যার ফলশ্রুতিতে এক পা দুই পা করে তিনি এমন জায়গায় পা দেন, যা তার সমুদ্রে পড়ে যাওয়াটা ঠেকাতে পারেনি। ফল যা হবার তাই হলো সমুদ্রে ডুবে যেতে বসছিলেন ওই পর্যটক। কারণ ওই মহিলা সাঁতার জানতেন না। আর এর পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতিও ভয়াবহ আকার ধারণ করে বলে জানান ডুবুরী দলের প্রধান ডিন কেলি। তিনি বলেন, ‘আমরা ওই মহিলার পিঠ দেখতে পাচ্ছিলাম। এর মাধ্যমেই আমরা ভেবে নিয়েছিলাম ওই মহিলা সাঁতার কাটতে পারেন না। তাই আমরা ডুবুরী নামিয়ে দিয়ে তাকে উদ্ধারকাজ শুরু করি।’ অবস্থা বিপদজনক হলেও উপস্থিত ডুবুরীদের সহায়তায় পরিস্থিতি বেশ খারাপের দিকে গড়ায়নি বলেও জানান তিনি। মিনিট বিশেকের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টায় ডুবুরীদল ওই মহিলা পর্যটককে উদ্ধার করে হাসপাতালের বেডে শুইয়ে দেন । আর তখনই ঘটে মজার কাহিনী।
হুঁশ ফিরে আসার পরে হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন ওই মহিলা। তার কৃতকর্মের জন্য উপস্থিত সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থণা করেন। হঠাৎ করে ফেসবুক ব্যবহার করবেননা বলেও ঘোষণা দিয়ে বসেন ওই মহিলা। এর মধ্যে তার অবস্থা ক্রমেই ভালোর দিকে যেতে থাকে। অবস্থা ভালো হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তার ঘোষণা ভেঙ্গে আবারো তিনি ফেসবুক ব্যবহার শুরু করেন বলেও মন্তব্য করেন দায়িত্বরত চিকিৎসক। উল্লেখ্য, ফেসবুক ব্যবহার আসক্তির পর্যায়ে চলে গেলেই এ ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে মন্তব্য করেছেন একজন মনোচিকিৎসক। আর এ ধরনের আসক্তি কোন সময়েই শুভ কিছু বয়ে আনেনা বলেও জানান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে অতিমাত্রায় আসক্ত হয়ে পড়লে যে কোন সময় অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। উপর্যুক্ত মহিলার ঘটনার মতো মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়ারও সম্ভবনা থেকে যায় বলে উল্লেখ করেন ওই মনোচিকিৎসক।
তথ্যসূত্র: বিবিসি.

শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপের সুযোগ করে দিল রবি

 শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ করে দিল মোবাইল ফোন অপারেটর রবি আজিয়াটা লিমিটেড। এখানে প্রতিবছর এসিসিএর (দ্যা আসোসিয়েশন অব চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্টস) ১০ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ পাবে।
রাজধানীর হোটেল ওয়েসটিনে রোববার সকালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে রবি ও এসিসিএর মধ্যে এক সমঝোতা চুক্তি সাক্ষর করা হয়। রবির চিফ হিউম্যান রিসোর্সেস অফিসার মতিউল ইসলাম নওশাদ ও এসিসিএ’র কান্ট্রি ডিরেক্টর মহুয়া রশিদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিপত্রে সাক্ষর করেন। প্রতিষ্ঠান দুটি দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়।
মতিউল ইসলাম নওশাদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বিশ্বমানের করে গড়ে তোলার জন্য আমরা উদ্দ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই আমাদের মতো করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও এ ধরণের কাজে এগিয়ে আসবে।’
মহুয়া রশিদ বলেন, ‘অনার্স পড়ুয়া একটা ছাত্র তার কোর্সের চার বছরের মধ্যে অনেকটা সময় নষ্ট করে। এ সময়টাতে তাকে যদি কাজের একটা পরিবেশে প্রবেশ করানো যায় তাহলে সে বইয়ের পড়ার পাশাপাশি বাস্তব জ্ঞানটাও পাবে। এতে করে সে কর্মজীবনের একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।’
চুক্তি সাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রবির রিসোর্সিং ভিপি শারমিন সুলতান, মো. ফয়সাল ইমতিয়াজ খান, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এসিসিএর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।

মৃত মানুষেরাও আসছে সামাজিক নেটওয়ার্কে !


 বিজ্ঞানের এই যুগে অনেক নতুন আবিষ্কারের অনেক কিছুই যেমন ছিল শুধু প্রয়োজনের জন্য, তেমনি অনেক কিছুই হয়েছে কিছু খেয়ালি মানুষের হুজুগের বশে। এমনি একজন খেয়ালি মানুষ,ইসরায়েলী বংশউদ্ভুত উদ্যোক্তা শেলি ফারমেন, নিয়ে এসেছেন মৃত মানুষের জন্যে সামাজিক যোগাযোগের সাইট। প্রায় ৪০ হাজার ডলার খরচ করে তিনি বানিয়েছেন “নেশামা” (neshama.info) নামের অদ্ভুত এই সাইট। তার ইচ্ছা এই সাইটের মাধ্যমে ইসরায়েলের সব কবরখানার তথ্য সংরক্ষন করা হবে। হিব্রু “নেশামা” শব্দের অর্থ “আত্মা” যদিও সাইট টি তে ইংরেজিতে ব্যবহার করা গেলেও, মৃতদের নাম খুজতে হবে হিব্রু ভাষায়।
অদ্ভুত হলেও এই সাইট টি ইতোমধ্যে ভালোই সাড়া ফেলেছে। অনেকেই তাদের হারানো প্রিয়জনদের খুঁজতে এবং তাদের স্মরণ করতে এই সাইটের দিকে ঝুঁকবেন-এমনটাই আশা শেলির।
তথ্যসূত্রঃ টাইমস অফ ইন্ডিয়া !

ভুয়া লাইক এর বাণিজ্যিক কেন্দ্র ঢাকা .........

                                                            Facebook Likes


                            সোশাল নেটওয়ার্ক ফেসবুকের লাইক আর টুইটারের ফলোয়ার সংখ্যার উপর অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম জড়িত। কে কত বড় সেলিব্রেটি, বা কোন পণ্য কত বেশি জনপ্রিয়, সেসবের বিচারেও আজকাল বিবেচনায় আসে লাইকের সংখ্যা৷ এই লাইক বেশ সস্তাতেই বিক্রি হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ডয়েচে ভেলে।
ফেসবুক পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ সাইট৷ আর এই সাইট ঘিরে বাণিজ্যেরও শেষ নেই৷ ফেসবুকের সুবিধা নিচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব বড় প্রতিষ্ঠান৷ হলিউড, বলিউড তারকারাও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই৷
তবে ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ সাইটে নিজেদের শক্ত অবস্থান বোঝাতে অনেকে ‘ভুয়া লাইকও’ কিনছেন৷ খুব সস্তায় ইন্টারনেটে বিকাচ্ছেও তা৷ কিন্তু নৈতিকতার প্রশ্নে ‘ভুয়া লাইক’ কেনাটা প্রতিষ্ঠান বা তারকা সবার ক্ষেত্রেই ক্ষতিকর৷
ইটালির নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং ব্লগার আন্দ্রেয়া স্ট্রোপা এবং কার্লা ডি মিশায়েলি হিসেব করে দেখেছেন, ২০১৩ সালে ভুয়া টুইটার ‘ফলোয়ার’ বিক্রি করে ৪০ থেকে ২৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো আয় করেছে অনেক প্রতিষ্ঠান৷ ফেসবুকের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ২০০ মিলিয়নের মতো৷ শুধু লাইকই নয়, টাকার বিনিময়ে ওয়েবসাইট কিংবা ভিডিও-র জন্য ক্লিকও কিনছে অনেক প্রতিষ্ঠান৷
টাকা দিয়ে লাইক কেনার তালিকায় রয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও৷ তাদের ফেসবুক পাতায় লাইকের সংখ্যা চার লাখের বেশি৷ লাইক বাড়াতে এই মন্ত্রণালয় কয়েক লাখ মার্কিন ডলার খরচ করেছে৷ ২০১৩ সালে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পাতা সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল কায়রোতে৷
মার্কিন বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটস প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা হচ্ছে লাইক বা ‘ক্লিক বাণিজ্যের’ আন্তর্জাতিক কেন্দ্র৷
ইউনিক আইটি ওয়ার্ল্ড নামের ঢাকার একটি সংস্থার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি তাঁর খদ্দেরের সামাজিক যোগাযোগ পাতা ‘লাইক’ করার জন্য অন্যদের পয়সা দিয়ে থাকেন৷ ফলে ফেসবুক, টুইটার বা গুগলের পক্ষে এসব লাইক ভুয়া হিসেবে গণ্য করা বেশ কঠিন৷
সাইফুল ইসলাম দাবি করেন, ‘যেসব একাউন্ট থেকে লাইক বা ক্লিক করা হয় – সেগুলো ভুয়া নয়, আসল৷’
সাম্প্রতিক হিসেবে দেখা গেছে, ফেসবুকের অনেক পাতাই সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ঢাকা শহরে৷ ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির ফেসবুক পাতায় ভক্তের সংখ্যা প্রায় ৫১ মিলিয়ন৷ এই পাতা সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢাকায়৷ একইভাবে ফেসবুকের নিজস্ব নিরাপত্তা পাতা এবং গুগলের ফেসবুক পাতাও লাইকের বিচারে সবচেয়ে জনপ্রিয় ঢাকায়৷
তবে, ফেসবুক বা টুইটারে ব্যাপক জনপ্রিয় অধিকাংশ পাতা ‘ভুয়া লাইকে’ ভরা – এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই৷ বরং লাইক বাড়ার পেছনে যৌক্তিক এবং বিশ্বাসযোগ্য কারণও থাকে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, বার্গার কিংয়ের কথা৷ এই ফাস্ট ফুড চেইনের ফেসবুক পাতা কয়েক সপ্তাহ লাইকের বিচারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল পাকিস্তানের করাচিতে৷ মূলত পাকিস্তানে বার্গার কিং-এর কয়েকটি শাখা চালু হওয়ার পর এমনটা হয়েছিল৷              

বছরজুড়ে আলোচিত দশ মোবাইল ফোন............

বছরজুড়ে আলোচিত দশ মোবাইল ফোন


বছরজুড়ে আলোচিত দশ মোবাইল ফোন
                                     
বছর শেষ হয়ে আবার একটি নতুন বছর আমাদের সামনে। ২০১৩ সাল জুড়ে বিশ্বের মোবাইল ফোন বাজারে ছিল উল্লেখ করার মতো অগ্রগতি। নানা ধরনের চমক জাগানো ফিচার নিয়ে একের পর এক নতুন নতুন হ্যান্ডসেট এসেছে বাজারে। বছরের শেষ প্রান্তে ফিরে দেখা যাক এ বছরের শীর্ষ দশটি মোবাইল ফোন:
* অ্যাপল আইফোন ৫এস : বছরের সেরা মোবাইল ফোন হিসেবে বিশ্বজুড়েই সবচেয়ে বেশি সমাদৃত হয়েছে আইফোন ৫ এস। অত্যাধুনিক এই ফোনটির শীর্ষস্থান লাভের পেছনে এর জনপ্রিয়তার চেয়ে যেটি বিবেচনায় রাখা হচ্ছে সেটি হচ্ছে, এই আইফোন ৫এস ই ভবিষ্যতের স্মার্টফোনের গতিপথ বাতলে দিয়েছে। আইফোন ৫এস এর ৬৪ বিট সুপারফাস্ট প্রসেসর দিয়ে খুব দ্রুতগতির মোবাইল কম্পিউটিং ও ডাটা প্রসেস করা যাচ্ছে। এই ফোনটিই ইঙ্গিত দিচ্ছে মোবাইলের কম্পিউটিং ভবিষ্যতে আরো অনেক বেশি গতিশীল হয়ে উঠবে। এছাড়া এই ফোনে অ্যাপল ফিঙ্গারপ্রিন্ট প্রযুক্তিতে ফোন লকের ব্যবহার করেছে তা ভবিষ্যতে আরো বিস্তৃত পরিসরে ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছে অ্যাপল।
*স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট-৩ : ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট স্যামসাংয়ের এই স্মার্টফোনটি বাজারে আলোড়ন তোলে এর ৫.৭ সাত ইঞ্চি সুপার অ্যামোলেড ফুল এইচডি স্ক্রীন ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা দিয়ে। এছাড়াও এই ফোনটিতে আছে এস পেন নামে একটি স্টাইলিস পেন যা দিয়ে ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পয়েন্ট নোট করা, আকাআকি এমনকি কন্টাক্ট শেয়ারও করা যায়। এছাড়া এই ফোনে রয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ৪.৩ এবং ৪জি সুবিধা। ৬৬ নিটস স্ক্রিন সমৃদ্ধ স্যামসাংয়ের এই ফোনটি এখনো পর্যন্ত বাজারের সবচেয়ে উজ্জল স্ক্রীনওয়ালা মোবাইল ফোন।
*নকিয়া লুমিয়া ৫২০: নোকিয়ার ফোন ব্যবসাকে পুনরায় চাঙ্গা করে উইন্ডোস অপারেটিং সিস্টেম চালিত নকিয়া লুমিয়া ৫২০, তাছাড়া বছরজুড়ে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া উইন্ডোস ফোন ছিল এটি। ১ গিগাহার্জ ডুয়ালকোর প্রসেসর চালিত এই স্মার্টফোনের রয়েছে ৪ ইঞ্চি স্ত্রীন।
* এইচটিসি ওয়ান: ব্লিঙ্কফিড, জো‘র মতো অত্যাধুনিক সফটওয়্যারসহ গ্রাহকদের কাছে এসে চমক জাগানো এইচটিসি ওয়ান রয়েছে এ বছরের শীর্ষ দশটি মোবাইল ফোনের তালিকায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনটির রযেছে ৪.৭ ইঞ্চি স্ত্রীন ও ৪ আল্ট্রাপিক্সেল ক্যামেরা। এছাড়া ১.৭ জিবি কোয়াড্রোকোর প্রসেসরের এই স্মার্টফোনের রয়েছে ২জিবি র‍্যাম এবং ৩২ জিবি ইন্টারনাল মেমরি স্টোরেজ সুবিধা।
# নেক্সাস ৫ : গুগলের এই নেক্সাস ৫ এই মুহুর্তে বাজারে সবচেয়ে নাগালের মধ্যে দামে ভালো স্মার্টফোন। মোবাইল ফোন নির্মাতা এলজি‘র তৈরি এই ফোনে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েডের সবচেয়ে আপডেটেড ভার্সন কিটক্যাট। ৪.৯৫ ইঞ্চির ফুল এইচডি স্ক্রীনযুক্ত নেক্সাস ফাইভে রয়েছে, ৮ মেগাপিক্সেল রিয়ার ক্যামেরা, ৩২ ও ৬৪ জিবি স্টোরেজ সুবিধা এবং ২ জিবি র‍্যাম ।
*মোটো এক্স : মোটো এক্স বাজারের অন্যসব মোবাইল ফোনের মতো অতটা সুক্ষপ্রযুক্তি নিয়ে আসতে পারেনি। তবে এর লক্ষ ছিল ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সমন্বিত অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করা। এর নিজস্ব কিছু অ্যাপস যেমন টাচলেস কন্ট্রোল, অ্যাকটিভ ডিসপ্লে, কুইক ক্রাপচার ও কাস্টোমাইজেবল বডি বাজারের অন্যান্য স্মার্টফোনের সঙ্গে এর পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। মোটো এক্স ফোনের রয়েছে ১.৭ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর প্রসেসর, ৪.৭ ইঞ্চি এইচডি স্ত্রীন ও ১০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা।
*এলজি জি ফ্লেক্স : বর্তমানে স্মার্টফোনের বাজারে জি ফ্লেক্স মাত্র দ্বিতীয় ফোন যার রয়েছে বাঁকানো স্ত্রীন। সাত ইঞ্চি এই স্ত্রীনের আর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এটি কাঁচের বদলে প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। এছাড়া আর একটি বিশেষত্বের জন্য এই ফোনটি আলোচিত হয়েছে তা হচ্ছে, এর সেল্ফ হিলিং ব্যাক প্রযুক্তি।
*নকিয়া লুমিয়া ১০২০ : নকিয়ার এই স্মার্টফোনটির বিশেষত্ব হচ্ছে এর তোলা ছবি অনায়াসেই পাল্লা দিতে পারে প্রফেশনাল ক্যামেরার ছবির সঙ্গে। ৪১ মেগাপিক্সেলের এই ফোনে রয়েছে কার্ল জেইস অপটিস ও জেনন+এলইিড ফ্ল্যাশ, ইমেজ স্ট্যাজিলাইজেশন ও ডুয়াল ক্যাপাচারে মতো সুবিধা।এত রয়েছে সাড়ে চার ইঞ্চির এইচডি স্ত্রীন, ১.৫ গিগাহার্জ ডুয়াল কোর ও ২ জিবি র‍্যাম সুবিধা।
*এলজি জি২: এ বছর বাজারে আলোড়ন তোলা আর একটি স্মার্ট ফোন হচ্ছে এলজি;র জি২,  অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ চালিত এই ফোনে রয়েছে ৫ ইঞ্চির ডিসপ্লে, ২.২ গিগাহার্জ প্রসেসর ও ১৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এছাড়া এই ফোনের আর একটি বিশেষত্ব হচ্ছে এতে অন্য ফোনের মতো ভলিউম ও পাওয়ার বাটন পাশে না থেকে রয়েছে একবারে পেছনের পাশে।
* সনি এক্সপেরিয়া জেড-ওয়ান : সনির সর্বশেষ এই স্মার্টফোনে রয়েছে ৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এবং ২০ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। এই ফোনটি পানি ও ধুলা প্রতিরোধক। অ্যান্ড্রয়েড ৪.২ তে চালানো এই ফোনের প্রসেসর হচ্ছে ২.২ গিগাহার্জ কোয়াড্রোকোর। এতে রয়েছে ২ জিবি র‍্যাম এবং ১৬ জিবি ইন্টারনাল মেমরি সুবিধা।
টাইমস অফ ইন্ডিয়া অবলম্বনে..................



মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৪

আসছে মটোরোলার সল্পমূল্যের স্মার্টফোন মটো জি

আসছে মটোরোলার সল্পমূল্যের স্মার্টফোন মটো জি
বাজারে স্মার্টফোনের চাহিদা বাড়ার কারণে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন মোবইল উৎপাদনকারী কোম্পানি স্মার্টফোন তৈরির দিকে ঝুঁকছে। আর এ তালিকায় নতুন সংযুক্তি মটেরোলা। প্রাথমিক পর্যায়ে মটো জি নামের স্মার্টফোনের একটি ব্র্যান্ড নিয়েই তারা যাত্রা শুরু করছেন বলে জানান মটোরোলার সিইও ডেনিস উডসাইড। আর তাদের এ স্মার্টফোন অন্য যেকোন স্মার্টফোনের চেয়ে তুলনামুলক কমদামে পাওয়া যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। মানুষের কাছে স্বল্পমূল্যে স্মার্টফোন পৌঁছে দেয়া-এ লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখেই মটোরোলা মটো জি স্মার্টফোন তৈরি করেছেন বলে উল্লেখ করেন কোম্পানিটির সিইও উডসাইড । এ বিষয়ে তিনি বলেন,‘ আমরা স্বল্পমূল্যে গ্রাহককে ভালমানের স্মার্টফোন সরবরাহ করতে চায়। আর এক্ষেত্রে আমাদেও প্রথম উদ্যোগ মটো জি। ’ এছাড়া আগামী বছরের মধ্যেই ৫০০ মিলিয়ন মানুষের কাছে ওই ফোন পৌঁছে দিতে চান বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে সম্প্রতি ওই স্মার্টফোন ব্রাজিল এবং ইউরোপের কয়েকটি দেশে বাজারজাত করা হয়েছে বলেও জানান । এর পরে তা আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং এশিয়ায় ক্রমান্বয়ে বাজারজাত করা হবে বলেও উল্লেখ করেন উডসাইড।
তথ্যসুত্র: ম্যাশেবল

ফ্যাবলেট আনলো স্যামসাং

ফ্যাবলেট আনলো স্যামসাং
 টেক জায়ান্ট স্যামসাং নিয়ে এল নতুন প্রজন্মের মোবাইল ফোন “গ্যালাক্সি গ্র্যান্ড ২” কিন্তু এর বিশালকায় পর্দার জন্য একে মোবাইল ফোন না বলে “ফ্যাবলেট” বলা হচ্ছে। কারন এই ফোনের মূল আকর্ষণ এর ৫.২৫ ইঞ্চি আকারের পর্দা। গ্যালাক্সি সিরিজের আগের মডেল গুলোর চাইতে আরও উন্নত পর্দার কারনে এটি গ্রাহকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ হবে বলে মনে করছে স্যামসাং।
এনড্রয়েড জেলিবিনের সর্বশেষ সংস্করন ৪.৩ সহ এতে রয়েছে ১.২ GHz এর Quad Core Processor, 1.5 Gb RAM, ও আরও শক্তিশালী ব্যাটারি নিয়ে এই গেজেট টি অন্যান্য স্মার্টফোন কোম্পানি গুলোকে চ্যালেঞ্জ এর মুখে ফেলতে পারার জন্য যথেষ্ট উপযোগী। ক্যামেরার রেজোলিউশান ৮ মেগাপিক্সেলই রাখা হয়েছে। এতে আরও রয়েছে ডুয়াল-সিম সুবিধা,ফলে একই মোবাইলে দুইটি অপারেটরের সেবা নেয়ার সুযোগ থাকছে। তবে বরাবরের মত এবারো স্যামসাং তাদের গেজেটের আকার নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়তে পারে। গ্যালাক্সি সিরিজের আগের সংস্করনগুলোও তাদের ‘বাড়তি’ আকৃতির জন্যে কিছুটা বিতর্কের মুখে পড়েছিল,যদিও তাদের বিভিন্ন ফিচার ও সেবার মাধ্যমে সেই অভিযোগ টেক্কা দিতে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি স্যামসাং কে।
স্যামসাং এর প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে-”গ্যালাক্সি গ্র্যান্ড সিরিজের বিবর্তন এর আগের ভার্সনগুলোর চাইতে আরও গুরুত্বপূর্ণ সম্ভাবনা নিয়ে এসেছে। এর হাই-ডেফিনিশন পর্দা,উন্নত পারফরমেন্স এবং আরও উল্লেখযোগ্য ফিচার একে অনন্য করে তুলেছে।” একই সাথে ট্যাবলেট পিসি ও মোবাইল ফোনের স্বাদ একই গেজেটে পেতে চাইলে স্যামসাং এর ” গ্যালাক্সি গ্র্যান্ড ২ ” গ্রাহকদের জন্য একটি যুগোপযোগী গেজেট হিসাবে বাজার কাঁপাতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এক স্মার্টফোনে দুই অপারেটিং সিস্টেম


স্পেনের নতুন স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিকসফোন সম্প্রতি জানিয়েছে, একই স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড ও ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম চালানো যাবে। গিকসফোন সম্প্রতি এ ধরনের একটি স্মার্টফোন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। গিকসফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন স্মার্টফোনটিতে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম দু’টি গ্রাহকদের একইসাথে ব্যবহারের সুযোগ পাবে। স্মার্টফোনে এ দু’টি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে গ্রাহক যেকোনো একটি অথবা দু’টিও একইসাথে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সেবাকে সমন্বিত করে তাদের স্মার্টফোনগুলো তৈরি করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা বর্তমানের চেয়ে আরো উন্নত সেবা পাবেন।
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর এ স্মার্টফোনের সেবাগুলো প্রচলিত ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমে যেসব সেবা থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি। পিক প্লাস নামের এ স্মার্টফোন দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মাঝে স্মার্টফোন সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। পিক প্লাসে ৪ দশমিক ৩ ইঞ্চির হাই ডেফিনেশনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রয়েছে ১ দশমিক ২ গিগাহার্টজ গতির ডুয়ালকোর স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। ৪ গিগাবাইটের এ স্মার্টফোনের তথ্য ধারণমতা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে। এক হাজার ৮০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিযুক্ত পিক প্লাসে রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা। এতে উন্নত ১.১ সংস্করণের ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ২৫ গিগাবাইটের কাউড সেবাও রয়েছে।
্একস্মার্টফোনে একইসাথে চলবে দু’টি অপারেটিং সিস্টেম
স্পেনের নতুন স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গিকসফোন সম্প্রতি জানিয়েছে, একই স্মার্টফোনে অ্যান্ড্রয়েড ও ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম চালানো যাবে। গিকসফোন সম্প্রতি এ ধরনের একটি স্মার্টফোন তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। গিকসফোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নতুন স্মার্টফোনটিতে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম দু’টি গ্রাহকদের একইসাথে ব্যবহারের সুযোগ পাবে। স্মার্টফোনে এ দু’টি অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যে গ্রাহক যেকোনো একটি অথবা দু’টিও একইসাথে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের মতে, নতুন প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সেবাকে সমন্বিত করে তাদের স্মার্টফোনগুলো তৈরি করতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা বর্তমানের চেয়ে আরো উন্নত সেবা পাবেন।
ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর এ স্মার্টফোনের সেবাগুলো প্রচলিত ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেমে যেসব সেবা থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি। পিক প্লাস নামের এ স্মার্টফোন দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের মাঝে স্মার্টফোন সেবার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। পিক প্লাসে ৪ দশমিক ৩ ইঞ্চির হাই ডেফিনেশনের ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়েছে। এতে রয়েছে ১ দশমিক ২ গিগাহার্টজ গতির ডুয়ালকোর স্ন্যাপড্রাগন প্রসেসর। ৪ গিগাবাইটের এ স্মার্টফোনের তথ্য ধারণমতা মাইক্রো এসডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়ানো যাবে। এক হাজার ৮০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের ব্যাটারিযুক্ত পিক প্লাসে রয়েছে ৮ মেগা পিক্সেলের ক্যামেরা। এতে উন্নত ১.১ সংস্করণের ফায়ারফক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ২৫ গিগাবাইটের কাউড সেবাও রয়েছে।

১৫ হাজার টাকায় স্যামসাং থ্রিজি ফোন

১৫ হাজার টাকায় স্যামসাং থ্রিজি ফোন
  বাংলাদেশে মোবাইল ফোনে থ্রিজি সেবা চালু হওয়ার পর থেকেই থ্রিজি ব্যবহার উপযোগী সেট বাজারে ছাড়ছে স্যামসাং। উচ্চদামের ট্যাব, নোটের পাশাপাশি তুলনামূলক কম দামের সেটও বাজারে ছাড়ছে তারা।
স্যামসাং সম্প্রতি বাজারে নিয়ে এসেছে গ্যালাক্সি সিরিজের গ্যালাক্সি ট্রেন্ড। ৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে এবং ডুয়াল সিম ব্যবহারের সুবিধা আছে এই সেটে।
থ্রিজি কানেক্টিভিটিসহ গ্যালাক্সি ট্রেন্ড এ থাকছে অত্যাধুনিক সব ফিচার। এতে রয়েছে ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, অ্যান্ড্রয়েড জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেম, ১ গিগাহার্টজ প্রসেসর যার সাহায্যে ছবি, গান, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে অনেক সহজেই।
এই স্মার্টফোনগুলোতে আরো রয়েছে দ্রুতগতির ব্লুটুথ ৪.০, ওয়াই ফাই, এ-জিপিএস, ৪ গিগাবাইট মেমোরি (৩২ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধনশীল এবং দীর্ঘমেয়াদি ১৫০০ এমএএইচ ব্যাটারি।
থ্রিজির জনপ্রিয়তা ও চাহিদা মাথায় রেখে গ্যালাক্সি ট্রেন্ডের সঙ্গে থাকছে বাংলালিংকের কিছু ডাটা অফার। গ্রাহকরা ১ গিগাবাইটের ডাটা প্যাক কিনলে পাচ্ছেন শতভাগ বোনাস, তারা এই ১ গিগাবাইট ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন একেবারে বিনামূল্যে।
গ্যালাক্সি ট্রেন্ডের মূল্য ১০হাজার ৯০০ টাকা।
তারুণ্যের উচ্ছ্বলতা চিন্তা করে গ্যালাক্সি ইয়াংডুয়োস বাজারে এনেছে স্যামসাং। এই ফোনটি ব্যবহারের মাধ্যমে উপভোগ্যতার ভিন্ন মাত্রা যোগ হবে বলেই মনে করছে স্যামসাং।
গ্যালাক্সি ইয়াং ডুয়োস এ রয়েছে  ৩.২৭ ইঞ্চি বড় ফুল টাচ স্ক্রিন। যার মাধ্যমে সব অত্যাধুনিক ফিচার উপভোগ করা যায় খুব সহজেই। ছবি, গান, ভিডিও, অ্যাপ্লিকেশন এবং অন্যান্য সব ফিচার খুবই স্বাচ্ছন্দ্যের সাথে পরিচালনা করা যাবে ৯ গিগাহার্টজ প্রসেসর এবং অ্যান্ড্রয়েড জেলিবিন অপারেটিং সিস্টেমের সাহায্যে।
ফোনটিতে রয়েছে ৩ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা, ব্লুটুথ, ওয়াই ফাই, এ জিপিএস, ৪ গিগাবাইট মেমোরি (৬৪ গিগাবাইট পর্যন্ত বর্ধনশীল) এবং দীর্ঘস্থায়ী ১৩০০ এমএএইচ ব্যাটারি।
বাড়তি সুবিধা দিতে এই ফোনে রয়েছে স্মার্ট অ্যালার্ট। এই অ্যালার্ট আপডেট করতে ঝাকাতে হবে আর শব্দ বন্ধ (অ্যালার্ট টোন) করতে উল্টিয়ে রাখতে হবে।
পরিবর্তনযোগ্য উইজেট থেকে শুরু করে কার্যকরি নোটিফিকেশন ও ইনটুউটিভ হোম স্ক্রিন, ডুয়াল সিম সুবিধা। এছাড়াও ইজি মোডের সাহায্যে ব্যবহারকারীরা আরো সহজেই প্লে-স্টোর থেকে ৭ লাখেরও বেশি অ্যপ্লিকেশন প্রিয় কনট্যাক্ট ইত্যাদি ব্যবহারের সুবিধা পাবেন

হ্যান্ডসেটটির সাথে থাকছে ট্রাভেল অ্যাডাপটার, ব্যাটারি, স্টেরিও হ্যান্ডসেট, ডাটা কেবল এবং হেডসেট। ফোনটি পাওয়া যাবে আকর্ষণীয় তিনটি রঙে- সাদা,ডিপ ব্লু এবং মেটালিক সিলভার।
গ্যালাক্সি ইয়াং ডুয়োস এর মূল্য ১১ হাজার ৯০০ টাকা।