সম্প্রতি মার্কিন গবেষকেরা এক গবেষণায় জানতে পেরেছেন, বেশি টুইট বা পোস্ট করার সঙ্গে নার্সিসিজমের সম্পর্ক রয়েছে। অতিমাত্রায় প্রশংসিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থেকে বেশি বেশি টুইট করা হয়ে যেতে পারে।যুক্তরাষ্ট্রের হাই পয়েন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শন ডেভেনপোর্টের নেতৃত্বে একদল গবেষক অতিরিক্ত টুইট ও ফেসবুক পোস্টের সঙ্গে আত্মকেন্দ্রিকতার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষক শন ডেভেনপোর্ট এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ফলোয়ার বা অনুসারী বাড়ানোর আকাঙ্ক্ষা নার্সিসিজমের প্রাথমিক কারণ আর এ কারণেই বেশি বেশি টুইট করা হয়।
ঘন ঘন ফেসবুকে, টুইটারে পোস্ট করছেন? কেউ কিছু আপনার লেখায় মন্তব্য করছে কি না, কেউ লাইক দিচ্ছে কি না তা দেখতে বার বার ফেসবুক খুলছেন কিংবা মন্তব্য কম দেখে আবারও নতুন পোস্ট দিচ্ছেন। লোকে যে যাই বলুক না কেন গবেষকেরা কিন্তু আপনাকে ‘আত্মকেন্দ্রিক’ মানুষ হিসেবেই চিহ্নিত করবেন।
বেশি বেশি পোস্ট দিলে ক্ষতি কী? আপনি হয়তো ভাবছেন যে, আপনার ভালো লাগা থেকে আপনি এই পোস্ট লিখছেন। কিন্তু গবেষকেরা জানিয়েছেন, আপনি সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক ও টুইটারে আপনার আরও বেশি অনুসারী বাড়াতেই বেশি বেশি টুইট বা পোস্ট করে ফেলছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম প্যাসিফিক স্ট্যান্ডার্ডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গবেষণায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে যাঁরা নার্সিসিস্ট তাদের টুইট ও ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত প্রবণতা দেখা গেছে।
গবেষকেরা মার্কিন নাগরিকদের নিয়ে করা এই গবেষণার সময় দেখেন যে, কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে টুইট করার প্রবণতা বেশি থাকলেও বয়স্করা বেশি করে ফেসবুকে পোস্ট দেন। অর্থাত্, নতুন প্রজন্মের কাছে টুইটার যতখানি আগ্রহের পুরোনো প্রজন্মের মানুষের কাছে ফেসবুকের গ্রহণযোগ্যতা বেশি।
গবেষকেরা এ গবেষণা করার সময় ৫১৫ জন কলেজ শিক্ষার্থী ও ৬৬৯জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে নিয়ে গবেষণা করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, সক্রিয় টুইটার ব্যবহারকারীরা বেশি ফলোয়ার বাড়ানোর আশায় বেশি বেশি টুইট করেন।
‘কম্পিউটারস ইন হিউম্যান বিহেভিয়র’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে গবেষণা সংক্রান্ত নিবন্ধ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
OK, Thanks.